রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, জার্মানিতে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রকৃত স্বরূপ :
জার্মানি ও পশ্চিমা দেশগুলোয় আসলে প্রকৃত বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। ও সব দেশের পলিসির সাথে যদি কোনো দল বা গোষ্ঠীর কার্যক্রম ও মেনিফেস্টো খাপ না খায় ব্যস অমনি পশ্চিমা দেশগুলো বেআইনি ও ধ্বংসাত্মক কর্মতৎপরতা চালানো ও টেরোরিস্ট হওয়ার অভিযোগে ঐ দল বা গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ও দমন করে ! এবারো হামবুর্গের ইসলামিক সেন্টার এবং জার্মানির বিভিন্ন শহরে এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরো ৫৫ টি প্রতিষ্ঠানকে টেরোরিযম , অ্যান্টি সেমিটিক এবং জার্মানিতে নাকি ইসলামী বিপ্লব ঘটানোর ষড়যন্ত্রের ফালতু ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে বন্ধ করে দিয়েছে এবং পুলিশী অভিযান চালিয়ে ঐ সব প্রতিষ্ঠানের বেশকিছু কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মারধর করে আহত ও গ্রেফতার করেছে। ঐ সেন্টার ও ওর সকল প্রতিষ্ঠানের নাকি ইরান ও হিযবুল্লাহর সাথে সম্পর্ক থাকাটা চরম অন্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। হিযবুল্লাহ পাশ্চাত্য ও জার্মানির দৃষ্টিতে সন্ত্রাসী সংগঠন এ কারণে যে তা মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও ইসরাইলের সাম্রাজ্যবাদী সম্প্রসারণ ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে এবং মযলূম ফিলিস্তীনীদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং গাযায় ইসরাইলের আগ্রাসন, যুদ্ধাপরাধ সমূহ ও গণহত্যা ও প্রজন্ম হত্যার বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও জিহাদ করছে এবং ইসরাইলের অবস্থা শোচনীয় করে দিয়েছে । যদি ইহুদী নিধন বা হলোকাস্টের ঘটনা সঠিক হয় তাহলে এ জঘন্য অপরাধ জার্মানি করেছিল যার মাশুল ফিলিস্তিনীরা কেন দিতে যাবে হারামজাদা হারামী বাস্টার্ড অপরাধী জার্মানদের দেওয়া উচিত। ইসরাইল নামক মেকি বদমাইশ হারামজাদা অপরাধী সন্ত্রাসী সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রটি ৬ মিলিয়ন হারামজাদা জার্মানদের হত্যা করে ও কয়েক মিলিয়ন হারামী জার্মানকে তাদের বাস্তুভিটা ও ঘরবাড়ি জমিজেরাত থেকে উচ্ছেদ করে জার্মানিতে প্রতিষ্ঠা করা উচিত ছিল। কারণ জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ চলাকালে নাকি ৬ মিলিয়ন হারামজাদা শুয়োর বদমাইশ ইহুদীকে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে মেরেছিল যা হলোকাস্ট বলে খ্যাতি লাভ করেছে। অথচ হারামজাদা হারামী শুয়োর বদমাইশ ইহুদী যায়নবাদীরা অপরাধী জার্মানদের গায়ে একটা আচর পর্যন্ত না দিয়ে হাজার হাজার মযলূম ফিলিস্তিনীকে হত্যা ও লাখ লাখ ফিলিস্তিনীকে উচ্ছেদ ও দেশ থেকে বহিস্কার করে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , যুরা ( যুক্তরাজ্য) ও পশ্চিমা দেশগুলো এমনকি এই হতচ্ছাড়া বদমাইশ জার্মানির সর্বাত্মক সমর্থন , সাহায্য ও সহযোগিতা নিয়ে ফিলিস্তিন জবর দখল করে ইসরাইল নামক সন্ত্রাসী সন্ত্রাসবাদী অবৈধ অপরাধী দখলদার হানাদার যুদ্ধবাজ যায়নবাদী জঙ্গি কৃত্রিম মেকি রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠা করে । ১৯৪৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই অপরাধী সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি প্রতিবেশী আরবদেশগুলোর সাথে ৪ টি সর্বাত্মক আগ্রাসী যুদ্ধ চালিয়ে ঐ দেশগুলোর বহু জায়গা ও ভূমি দখল করেছে । আর গত নয়মাস ধরে অপরাধী যুদ্ধবাজ সন্ত্রাসী সন্ত্রাসবাদী এই ইসরাইল গাযায় আগ্রাসন , অসম যুদ্ধ , গণহত্যা , প্রজন্ম হত্যা ও সব ধরণের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ করেই যাচ্ছে এই মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , যুরা (যুক্তরাজ্য) , ফ্রান্স, জার্মানি ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রত্যক্ষ সর্বাত্মক সমর্থন , সাহায্য ও সহযোগিতায় যারফলে ৩৯০০০ এর ওপর শহীদ যাদের মধ্যে ১৫০০০ শিশুই রয়েছে এবং ৮৮০০০ এর অধিক আহত । মানবতার বিরুদ্ধে এ সব অপরাধ করেই যাচ্ছে ইসরাইল পুরো বিশ্ব এবং মুসলিম উম্মাহকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। আর পাশ্চাত্য এবং এই হারামজাদা হারামী বদমাইশ টেরোরিস্ট জার্মানি সেই দেশের হামবুর্গ ইসলামী সেন্টার ও এর সাথে যুক্ত ৫৫ টি প্রতিষ্ঠান ঠুনকো অভিযোগের ভিত্তিতে হামলা চালিয়ে বন্ধ করেছে অথচ এই ইসলামী সেন্টার ধর্মীয় সাংস্কৃতিক সামাজিক কর্মকাণ্ড চালাত এবং কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল না । অথচ জার্মানিতে ইসলামী বিপ্লব ঘটিয়ে নাকি দেশটির সরকার পরিবর্তন ও ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার মতো ফালতু হাস্যকর অভিযোগ দাঁড় করিয়েছে অপরাধী রেসিস্ট বর্বর জার্মান সরকার। একটা ইসলামী সেন্টারের যদি এত ক্ষমতা থেকে থাকে তাহলে ইরান কেন ইরাক সহ প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্র গুলোয় জোর করে আগ্রাসন চালিয়ে জবরদখল করে ইসলামী বিপ্লব করল না ? অথচ জার্মানির মতো চরম মুসলিম ও ইসলাম বিদ্বেষী খ্রীষ্টান বিধর্মী দেশে ইসলামী বিপ্লব ও সরকার পরিবর্তন তাও আবার হামবুর্গ ইসলামী সেন্টারের মতো ধর্মীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আদৌ সম্ভব ??!!! এ সব ঠুনকো ভিত্তিহীন অসার অভিযোগ ও অপবাদ আসলে ইউরোপ ও জার্মানিতে ইসলাম ভীতি ও মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর পাঁয়তারা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর সেই সাথে প্রমাণিত হলো যে পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে জার্মানি যে নিজেদের উদার গণতন্ত্রী বলে দাবি করে তা সর্বৈব মিথ্যা । আসলে এই দমনমূলক কাজটা ভালো ভাবে প্রমাণ করল যে জার্মানি আসলেই একটা স্বৈরাচারী রাষ্ট্র। বছর দুই তিন আগে এই জার্মান সরকার ব্যাপক সামরিক ও নিরাপত্তা মূলক অভিযান চালিয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশ বাদী ক্ষুদ্র একটি গোষ্ঠীকে জার্মানিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছিল বলে ক্র্যাশ এবং ঐ গোষ্ঠীটির সদস্যদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছিল । এই হলো হারামী হারামযাদা বদমাইশ রেসিস্ট বর্বর জার্মানি। আর হারামজাদা বলার কারণ হচ্ছে যে পুরো ইউরোপের ৪২ % অধিবাসী হারামজাদা অর্থাৎ বিয়ে বহির্ভূত অবৈধ ভাবে জন্মগ্রহণ কারী জারজ যিনা ব্যভিচারের উৎপাদিত সন্তান। যাদের জন্মের ঠিক নাই তারা তো অমানুষ অমানবিক ইতর প্রাণীর চেয়েও ইতর বদমাইশ ও অপরাধী তো হবেই। এসব হারামযাদা দিয়ে সব ধরনের অপরাধই সম্ভব । জার্মানি মুর্দা বাদ ।